লাইব্রেরিটিতে ধারণকরা বইয়ের পরিমান ১৭০ থেকে ২০০ মিলিয়ন

ব্রিটিশ লাইব্রেরি বিশ্বের অসাধারণ এক স্থাপত্য কৌশল, যেন বইয়ের দুনিয়া

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০১:৩২

ব্রিটিশ লাইব্রেরি

বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগারসমূহের মধ্যে একটি ব্রিটিশ লাইব্রেরি। যুক্তরাজ্যের জাতীয় গ্রন্থাগারটি বিশ্বের অসাধারণ এক স্থাপত্য কৌশল। যেখানে গেলে আপনি হারিয়ে যাবেন বইয়ের দুনিয়ায়।

কেউ যদি প্রতিদিন ৫টি করে বই দেখেন, তাহলে লাইব্রেরিটি শেষ করতে সময় লাগবে ৮০ হাজার বছর। বিল্ডিংয়ের নিন্মস্তর থেকে বুকসেলফের উচ্চতা ২৪ দশমিক ৫ মিটার বা ৮ তলা বিল্ডিংয়ের সমান। লাইব্রেরিতে ধারণকরা বইয়ের পরিমান ১৭০ থেকে ২০০ মিলিয়ন।

গ্রন্থাগারটি ১৯৭৩ সালের আগে ব্রিটিশ যাদুঘরের অংশ ছিল। উত্তরের সেন্ট প্যানক্রাস ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কর্তৃক ১৯৯৮ সালের জুন মাসে খোলা হয়। এটির স্থাপত্য ও ইতিহাসের জন্য "ব্যতিক্রমী আগ্রহের" প্রথম শ্রেণীর ভবন হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

লন্ডনে ১৭৫৩ সালে স্থাপিত লাইব্রেরিটি পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষণা গ্রন্থাগারগুলোর একটি। এতে আছে প্রায় সব ভাষার বিভিন্ন ধরনের ১ কোটি ৫৫ লাখের বেশি বইয়ের সংগ্রহ। সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ২ কোটি ৩৫ লাখ। প্রতিবছর ব্রিটিশ লাইব্রেরির সংগ্রহশালায় যুক্ত হয় প্রায় ৩০ লাখ নতুন বই। লাইব্রেরির সবচেয়ে পুরনো বইটির বয়স ৩ হাজার বছর।

গ্রন্থাগারটি ডিজিটাল, সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া বিভাগ দ্বারা স্পন্সরিত একটি অ-বিভাগীয় সরকারি সংস্থা। ব্রিটিশ লাইব্রেরি অনেকগুলি ভাষার আইটেম ও অনেকগুলি বিন্যাসসহ একটি প্রধান গবেষণা গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারটিতে মুদ্রণ ও ডিজিটাল উভয়ই প্রকারের বই, জার্নাল, সংবাদপত্রসহ প্রয়োজনীয় অনেককিছু।

লাইব্রেরির সংগ্রহে রয়েছে পাণ্ডুলিপিগুলির যথেষ্ট পরিমাণে সঞ্চয় ও ২০০০ খ্রিস্টপূর্বের আইটেমসহ প্রায় ১৪ মিলিয়ন বই।

লাইব্রেরির ঐতিহাসিক সংগ্রহের মূল ভিত্তি ১৮ শতকের দান এবং অধিগ্রহণের একটি সিরিজের উপর ভিত্তি করে, যা "ফাউন্ডেশন কালেকশন" নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে স্যার রবার্ট কটন, স্যার হ্যান্স স্লোয়েন, রবার্ট হারলে এবং কিং জর্জ এর কিংস লাইব্রেরি। সেইসাথে কিং জর্জ দ্বারা দান করা ওল্ড রয়্যাল লাইব্রেরির বই এবং পাণ্ডুলিপি।

 

 

 

 

 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top