নেপালে চার মন্ত্রীর পদত্যাগ, টালমাটাল ক্ষমতাসীন জোট

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:২৩

নেপালে টালমাটাল ক্ষমতাসীন জোট

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রাজেন্দ্র লিংডেনসহ চার মন্ত্রী। এতে বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন জোট। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চার মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার প্রচণ্ড বলেন, তিনি বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) থেকে রাম চন্দ্র পৌদেলকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থন দেবেন। জোট সরকারের শরিক দল ‘দ্য কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট’ (ইউএমএল)-এর প্রার্থীর পরিবর্তে রাম চন্দ্রকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান তিনি।

এই সিদ্ধান্তের কোনও কারণ প্রচণ্ড জানাননি। যদিও নেপালি কংগ্রেস পার্টি এর আগে প্রচণ্ডর মাওবাদী সেন্টার পার্টিরই মিত্রদল ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রাজেন্দ্র বলেন, যে জোটের অধীনে আমরা সরকারে যোগ দিয়েছিলাম তা আর অখন্ড নেই। তাদের পক্ষে সরকারে থাকা ঠিক হবে না।

শুক্রবার দাহাল বলেছিলেন, তিনি তার জোটের অংশীদার কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টির প্রার্থীর পরিবর্তে ৯ মার্চের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী নেপালি কংগ্রেস পার্টি থেকে রাম চন্দ্র পাউডেলকে সমর্থন করবেন। তবে তিনি তার সিদ্ধান্তের কারণ জানাননি। নেপালি কংগ্রেস দল দাহালের মাওবাদী কেন্দ্র দলের সাবেক মিত্র।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যায় পড়বে না প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সরকার। কারণ এখনও পার্লামেন্টে তার সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে যে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নতুন একটি জোট গঠিত হতে পারে।

গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দাহালের নেতৃত্বে একটি জোট সরকার গঠন করা হয়। ফলে তার মাওবাদী গোষ্ঠী এক দশকব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহ পরিত্যাগ করার পর থেকে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে। বিদ্রোহে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২০০৬ সালে তারা জাতিসংঘ-সহায়তা শান্তি প্রক্রিয়া এবং মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দেয়।

নেপালে ২০০৮ সালে ২৩৯ বছর পুরোনো রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকে ১১ বার সরকার বদল হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ভয় পাওয়ায় দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top