সুদানে সেনাবাহিনী-আধাসামরিক বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ২৭

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:০০

সুদানে সেনাবাহিনী-আধাসামরিক বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ

ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাবাহিনী ও শক্তিশালী আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সংঘর্ষে উত্তাল সুদান। দেশটির রাজধানী খার্তুম ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই বাহিনীর লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের তিনজন কর্মী রয়েছেন। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

দেশটির ডক্টরস ইউনিয়ন শনিবার এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। তবে হতাহতরা বেসামরিক লোক কি না সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ডক্টরস ইউনিয়নের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলীয় মেরোবি শহরে অগণিত হতাহত রয়েছে। এদের মধ্যে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সদস্যও আছে।

দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয় বাহিনীই খার্তুমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও প্রধান শহরগুলো দখলের দাবি জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেট দিয়ে আরএসএফের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। দেশটির বিমান বাহিনী এ সময় স্থানীয় লোকদের ঘর ছেড়ে না বেরোনোর আহ্বান জানিয়েছেন। খার্তুমের বাসিন্দারা বিবিসিকে তাদের ভয় ও আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিল’-এর নামে দেশ পরিচালনা করছিলেন।

এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।

বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

সেনাবাহিনী বলছ, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূতকরণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top