ডকসুরি তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বেইজিং, নিহত অন্তত ১১
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২৩, ০০:৪৬
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বেইজিং প্লাবিত হয়েছে শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরির আঘাতে। ভারী বৃষ্টির ফলে প্রবল বন্যায় মারা গেছেন ১১ জন। নিখোঁজ হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ বাসিন্দা। ৩১ হাজারের বেশি মানুষকে রাজধানী থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রলয়ঙ্করী টাইফুনের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি। তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। সরবরাহ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ।
শঙ্কার খবর হলো, আরেকটি টাইফুন ‘খানুন’ চীনের পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, পুরো জুলাই মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা; গত ৪০ ঘণ্টায় সেটি রেকর্ড করা হয়েছে বেইজিংয়ে।
চীনের রাজধানীতে বহাল রেড অ্যালার্ট। ফেংশান ও মেনতোগো এলাকায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে পানির উচ্চতা। আটকা পড়েছে কমপক্ষে ৩টি ট্রেন। দুটি এলাকার রাস্তায় ডুবে গেছে কয়েকশ যানবাহন। জরুরি ভিত্তিতে ৪৫টি ট্যাংকার সরবরাহ করছে পানি। বাতিল করা হয়েছে অর্ধশতাধিত ফ্লাইট।
গেলো শুক্রবার টাইফুন ডকসুরি’র প্রভাবে বেইজিংয়ে শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। ২০০৬ সালে টাইফুন ‘সাওমি’ আঘাত হানার পর ডকসুরি চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। এর আগে বেইজিংয়ের নিকটবর্তী সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়টি ছিল ১৯৭২ সালের ‘রিটা’।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে চীনের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বন্যা ছিল ১৯৯৮ সালে। ওই সময় চার হাজার ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালে হেনানের কেন্দ্রীয় প্রদেশে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। ওই বছরের ২০ জুলাই রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝো প্লাবিত হয়েছিল।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।