হামাসের হামলা সন্ত্রাসবাদের ভয়ানক কর্মকাণ্ড

যুক্তরাজ্য কী ইসরায়েলের পাশে রয়েছে ?

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের একদিন পরই ইসরায়েলে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ইসরায়েলে পৌঁছে তিনি ৭ অক্টোবর হামাসের ‘ভয়াবহ সন্ত্রাসী’ হামলার নিন্দা করেন এবং বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের পাশে আছে।

সুনাক বলেন, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলা সন্ত্রাসবাদের ভয়ানক এবং অব্যক্ত কর্মকাণ্ড। সুনাক এমন সময় সেখানে গেলেন, যখন ইসরায়েল গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য করে গাজায় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তেল আবিবে পৌঁছে তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি এবং আমি খুব আশা করছি এই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে।’

ডাউনিং স্ট্রিট এর তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হামলার ফলে ইসরায়েল এবং গাজায় প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করবেন সুনাক। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথ খুলে দিতে অনুরোধ করবেন তিনি। এছাড়া আটকেপড়া ব্রিটিশ নাগরিকরা যাতে নিরাপদে ফিলিস্তিনি থেকে বের হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা করবেন। দুই দিনের সফরে তিনি আরো কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।

গাজায় ক্রমাগত আক্রমণের মধ্যেই বুধবার তেল আবিব সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। কারণ, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল সফর করছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল হামলা চালানোর পর দেশটির প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেন বাইডেন। সেই সমর্থনের অংশ হিসেবে তেল আবিব সফরের সূচি নির্ধারণ করা হয়। বাইডেন বলেন, আমি ইসরায়েলের জনগণ ও বিশ্বকে জানাতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশেই আছে।

টানা ১৩ দিন ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এরই মধ্যে উভয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। এরপরেই সংঘর্ষ চলছেই। সহসাই এ সংঘাত বন্ধ হচ্ছে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top