গাজায় নির্বিচার হামলা বন্ধ হচ্ছে না...
এবার পশ্চিম তীরের মসজিদে ইসরায়েলের বিমান হামলা
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৪৭
টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাও। এবার পশ্চিম তীরের এক মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় প্রাথমিকভাবে একজন নিহতের খবর এসেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাতে দেশটির সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানানো হয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। হামলার পরিকল্পনার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে ভবনটি ব্যবহার করে আসছিলেন তারা। খবর আলজাজিরার।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলায় মসজিদের বহিরাংশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে ও ঘটনাস্থলে ছুটে চলেছেন চিকিৎসকরা। তবে বিশ্ব গণমাধ্যমে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের এই হামলার পরস্পর বিরোধী খবর আসছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
ইসরায়েল যদিও দাবি করছে তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু আদতে হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেখানকার বেসামরিক মানুষ যা একদম গণহত্যাই বলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল। ইসরাইল জানিয়েছে, হামাসের হামলা ও তাদের সঙ্গে সংঘষের্র ঘটনায় তাদের দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ সেনা ও পুলিশ সদস্য।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।