বিল জুড়ে অনিন্দ্য সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে রাশি রাশি গোলাপী পদ্ম
গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ২২:৪৯
বিল জুড়ে অনিন্দ্য সৌন্দর্য আভা ছড়াচ্ছে রাশি রাশি ফুটে থাকা গোলাপী পদ্ম। এসব পদ্ম ফুল শুধু বিল নয় সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলেছে প্রকৃতির। প্রষ্ফুটিত এসব পদ্ম ফুলের দেখা মেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বলাকইড় পদ্ম বিলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বিলবেষ্টিত গ্রাম বলাকইড়। জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এ বিল। ইতিমধ্যে ‘পদ্ম বিল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯৮৮ সালের পর থেকে বর্ষাকালে এ বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে পদ্মফুল জন্মে।
পুরো বিল গোলাপী রঙের পদ্ম ভরে ওঠে। চারিদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম। ৬৪টি পাপড়ি মেলে প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বাগত জানায় জলজ ফুলের রানী পদ্ম। এ যেন বিধাতার এক অপরূপ সৃষ্টি-যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। এমন অপরূপ দৃশ্য যেন ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিচ্ছে।
আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বলাকইড় পদ্ম বিলে ফুল থাকে। এ সময় এখানকার মানুষের কোন কাজ থাকে না। বিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নৌকায় ঘুরিয়ে কর্মহীন মানুষ উপার্জন করছেন। দর্শনার্থীদের নৌকায় ঘুরিয়ে দৈনিক ৮’শ থেকে এক হাজার টাকা আয় করছেন। আর কাজে নিয়োজিত আছে বিল পাড়ের অর্ধ শতাধিক পরিবার। ছোট বড় অর্ধশত নৌকা দিয়ে তারা পদ্ম বিলের সৌন্দয্য ঘুরিয়ে দেখান। এতে তাদের পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে।
এছাড়া এ সব পরিবারের সদস্যরা পদ্ম ফুল বিক্রি করেন। শহরে এক একটি পদ্ম ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হয়। এতে দৈনিক ৫ থেকে ৬'শ টাকা উপার্জন করছেন তারা। আর এ আয় দিয়ে ভালোভাবে চলছে তাদের সংসার।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধী স্থল। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে আসেন। পদ্ম বিলকে কেন্দ্র করে মৌসুমি পয্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য মান্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পদ্মবিলে যাওয়ার রাস্তাটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। সড়কটি মেরামত করা হলে দর্শনার্থীদের আর কোন সমস্যা থাকবে না।
এনএফ৭১/এমএ/২০২১
বিষয়: গোপালগঞ্জ গোলাপী পদ্ম
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।