নির্বাচনের ৬দিন পরে কেন্দ্রে পাওয়া গেল ব্যালট বাক্স
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে | প্রকাশিত: ২ জানুয়ারী ২০২২, ০৫:৪৭
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৬দিন পরে কেন্দ্রে পাওয়া গেল ব্যালট বাক্স। খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার বাক্সটি নিতে আসলে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। পরবর্তীতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
শনিবার উপজেলার কান্দি ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র কাচারীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, ২৬ ডিসেম্বর কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ৬দিন পর প্রধান শিক্ষক চিন্ময় বসু বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষে খুলে ব্যালট বাক্সটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণদের জানালে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীদের লোকজন বিদ্যালয় চত্বরে এসে জড়ো হয়।
এদিকে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার মধু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাই নির্বাচনের দিনে শুধুমাত্র মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন ৬নং ওয়ার্ডের কাচারীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন উপজেলার কাজী মন্টু কলেজের প্রভাষক প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল।
মোঃ ফারুক বেপারী বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নুরুল হক হাওলাদারের কাজ থেকে টাকা খেয়ে আমাকে পরাজিত করেছেন। আমি এই ওয়ার্ডে পূণরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি কারো কাছে প্রভাবিত না হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ করেছি। এই ভোটে নুরুল হক হাওলাদার মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। আমি ভোট কেন্দ্রে ৬টি ব্যালট বাক্স এনেছিলাম। ভোট গণনা শেষে চলে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে একটি বাক্স ভুলে থেকে যায়। এই বাক্সটি আজকে নিতে আসলে পরাজিত মেম্বারদের লোকজন আমাকে মারধর করেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২
বিষয়: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।