প্রেমের টানে জার্মান তরুণী গোপালগঞ্জে, বিয়ে করলেন চয়নকে

নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১৩:০৬

চয়ন ইসলাম ও জেনিফার স্ট্রায়াস

জার্মানি নাগরিক জেনিফার স্ট্রায়াস। জেনিফার বাইলেফেল্ড স্টেটের একটি স্কুলে মাধ্যমিক লেভেলে লেখাপড়া করছেন। প্রেমের টানে সেই জেনিফার চলে এলেন বাংলেদেশের গোপালগঞ্জে। বিয়ে করলেন বাংলাদেশী তরুণকে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জ আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন গোপালগঞ্জের জেলার কাশিয়ানী উপজেলার যোতকুরা গ্রামের চয়ন ইসলামকে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশি গৃহবধূকে দেখতে চয়নের বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকার মানুষ।

আরও পড়ুন: 'মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন' এর আত্মপ্রকাশ

চয়নের পরিবার গণমাধ্যমকে জানায়, চয়নের বাবা রবিউল ইসলাম ইতালিপ্রবাসী। চয়ন তাঁর বাবার মাধ্যমে ফ্যামিলি ভিসায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে পাড়ি জমান ইতালিতে। সেখানে কিছুদিন থাকার পরে ওই বছরের নভেম্বরে চলে যান জার্মানিতে। সেখানে গিয়ে একটি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হন চয়ন। ভাষা শিক্ষা শেষে চাকরি শুরু করেন। পরে ২০১৮ সালে একটি স্কুলে ভর্তি হলে সেখানেই পরিচয় হয় জেনিফারের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তাঁদের সম্পর্কের কথা উভয়ের পরিবার জানতে পারে এবং তা সাদরে গ্রহণ করে।

২০২২ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ওই বছরের ১০ মার্চ বাংলাদেশে ফিরে আসেন চয়ন এবং তাদের মধ্যে যোগাযোগ সচল থাকে। পরবর্তীতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে চলে আসেন জেনিফার। শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে জেনিফার নামলে বিমানবন্দরের বাইরে প্রেমিক চয়ন ও তাঁর পরিবার জেনিফারকে স্বাগত জানায়। ওই রাতেই গাড়িযোগে জেনিফারকে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসে চয়নের পরিবার।

এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে রবিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। জেনিফারের বাবা ও মা মেয়ের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি সব সময় যোগাযোগ করছেন।

বিয়ের বিষয়ে চয়ন ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল তাদের। চয়ন বাংলাদেশে চলে আসলেও ভালোবাসার টানে জেনিফা ঠিকই বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের এই বিয়েতে দুই পরিবারই খুব খুশি।’

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top