সাভারে ও আশুলিয়া ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে বাড়ি যাচ্ছে যাত্রীরা

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৪, ১২:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

সাভার ও আশুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষ ঈদ-উল-আজহার আনন্দ পরিবারের সকলের সাথে ভাগাভাগী করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে বাড়ি ফিরছে ।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইল, জিরানী বাজার, শ্রীপুর, ইপিজেড ও বাড়ইপাড়া এলাকায় এমন চিত্র চোখে পড়ে।

বাস ভাড়া একটু বেশি হওয়ায় ট্রাকেই যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ট্রাকযাত্রী। তবে নিম্ন আয়ের মানুষজনই বেশি যাচ্ছে এ পন্থায়। যাচ্ছেন নারীরাও।

বাইপাইল এসএ পরিবহনের সামনে গার্মেন্টসশ্রমিক আজিজুলের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে উপভোগ করতে

বাড়ি যাচ্ছি ট্রাকে, আমি বগুড়া যাব। বাস ভাড়া বেশি হওয়ায় ট্রাকেই যাচ্ছেন তিনি। ট্রাকে ঝুঁকি রয়েছে জেনেও ভাড়া কম হওয়ায় এভাবেই যাচ্ছেন তিনি।

আরেক ট্রাক যাত্রী আরমান জানান, তার বাড়ি রংপুর। বাস ভাড়া তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ট্রাক বেছে নিয়েছেন তিনি। এখানে ভাড়াও কম। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে চিন্তিত তিনি। বৃষ্টি হলে ভিজেই যেতে হবে। সাথে আবার যানজটও আছে সড়কে।

বড়ইপাড়া এলাকায় কথা হয় ট্রাকের যাত্রী আলমাছ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জিরানী বাজার এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তিনি। সিরাজগঞ্জে যাবেন তিনি। বাসে ভাড়া বেশি আবার বাস পেলেও সিট নেই, তাই ট্রাকে যাচ্ছি। এটাতে ভাড়াও কম, আবার দাড়িয়ে কিংবা বসেও যাতে পারছি। ঝুঁকি নিয়ে বিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঝুঁকি থাকলে আর কি করার, বাড়ি যেতে হবে, সবার সাথে ঈদ করতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা ভাড়া অনেক কম। বাসে যেখানে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, ট্রাকে সেখানে ৩০০ বা ৪০০ টাকাতেই যাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় কিছুটা যানজট দেখা গেছে।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এফ এম সাঈদ বলেন, ট্রাক কিংবা পিকআপে যাত্রী উঠলেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে সড়কে সার্বিক নিরাপত্তায় আমাদের পুলিশ কাজ করছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top