খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১০

ছবি: সংগৃহীত

দুই পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে নতুন করে তৈরি হয়েছে সমস্যা। ঘটেছে হতাহতের ঘটনা, জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি পোস্ট করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে-সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে কাজ করছে সরকার।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সফর করবেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।

প্রতিনিধি দলে থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর জনৈক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীকালে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।

এতে বলা হয়েছে, আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া এবং যেকোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধর করার ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। আহত মামুন বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় পাহাড়িদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। তবে সেখানে কিছু বাঙালির দোকানও পুড়ে যায়। যা নিয়ে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা শেষে রাতভর গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও নয়জন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top