রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২
রংপুরের পীরগাছায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদর ইউনিয়ন হিন্দু শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভবেশ চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওষুধ ব্যবসায়ী বিজন চন্দ্র দাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলা জামায়াতের অফিসে আয়োজিত হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এ কমিটির নাম ঘোষণা করেন সদর ইউনিয়ন শাখার জামায়াতের আমির আব্দুর জব্বার।
এ ছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক তাপস চন্দ্র রায়, সহ সম্পাদক কিসামত ঝিনিয়া, সনাতন সংঘের সভাপতি হিসেবে সুধারঞ্জন বর্মণ ও অর্থ সম্পাদক দেউতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র বর্মণের নাম ঘোষণা করা হয়।
মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ ইদ্রিস আলী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, দফতর সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ভবেশ চন্দ্র বর্মণ, ইউনিয়ন জামায়াতের অর্থসম্পাদক হোসাইন আহমেদসহ অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। আলিম- উর- রহিম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, দলের নাম "জামায়াতে ইসলামী"। নিচ্ছে হিন্দু। জনগণকে তারা বোকা ভাবে? এসব হঠাৎ কেন করছে? এখন কি এই দলের নাম "জামায়াতে হিন্দু" হয়ে যাবে? গদি পাওয়ার জন্য জামায়াত সবই করতে পারে।
ধর্মের নামে অন্য ধর্মের সাথে এমন সখ্যতা তো মহান আল্লাহ পাক করতে বলেননি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ধর্মভিত্তিক দল না হয়েও এমনতো কোনদিন করেনি! আসলেই আবার সেই কথা বলতে হয়, জামায়াত ইসলামী ধর্মের নামে অধর্মের চর্চাই বেশি করে। ইসলামের সত্যিকারের সর্বনাশ জামায়াত করছে।
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, জামাত এবার হিন্দুদের কাছে বেহেশত বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছে। জ্ঞানীরা অবগত আছেন যে, রেনেসার পূর্বে ইউরোপের পাদ্রীরা অর্থের বিনিময়ে বেহেশত বিক্রি করতো। আমাদের দেশের জামাত-শিবির সেই ব্যবসা বহাল রেখেছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।