মুন্সীগঞ্জে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে চলছে মাটি লুট
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪০
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রজতরেখা নদীতে প্রকাশ্যে ড্রেজার বসিয়ে ১৫ দিন যাবৎ মাটি হরিলুট করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র । বিষয়টি স্থাণীয় যশলং ইউনিয়ন পরিষদের তহসিলদার (ভূমি কর্মকর্তা) রফিকুল ইসলামকে বারবার অবহিত করলেও সে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
এতে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টঙ্গিবাড়ী ও সদর উপজেলার পদ্মা নদী হতে উৎপান্ন হয়ে দুই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রভাহিত রজত রেখা নদীর টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ছোট কেওয়ার এলাকায় প্রকাশ্যে ড্রেজার বসিয়ে মাটি কাটছেন ছোট কেওয়ার গ্রামের শাহালম ও ধীপুর গ্রামের মাসুম মেম্বার।
কয়েক মাস আগেও মাসুম মেম্বার ধীপুর সরকারী খাল হতে মাটি কাটায় তাকে প্রশাসন অর্থদন্ড প্রদান করলেও থেমে নেই তিনি। উপজেলার বিভিন্ন কৃষি জমি ও খাল নদী হতে মাটি কাটার সাথে জড়িত সে।
বর্তমানে সরকারী নদী হতে মাটি লুট করে ছোট কেওয়ার গ্রামে একটি পুকুর ভরাট করছে মাসুম ও শাহালম এমনটাই দাবি করছেন স্থাণীয়রা। মাসুম মেম্বার এর ড্রেজার শ্রমিক নেত্রকোনা জেলার মুন্না বলেন , মাসুম মেম্বার ও শাহালম খালের মধ্যে এ ড্রেজার বসিয়ে মাটি কাটছেন। মাটি কাটার কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে এবং মাসুম মেম্বার মিলে মাটি কাটছেন বলে স্বীকার করেন। খালের মাটি কাটার কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে অনুমতি নেই বলে জানান।
এ ব্যাপারে মাসুম মেম্বার বলেন, শাহ আলম আমার আত্নীয়। তাই ড্রেজার দিয়ে তাকে একটু মাটি কেটে দিচ্ছি। নদীর মাটি কাটার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি নেই বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে স্থাণীয় ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি এ্যাসিল্যান্ড সাহেবকে অবগত করেছি তিনি ব্যবস্থা নিবেন। তবে এক সপ্তাহ ধরে এই একই কথা বলছেন ওই ভূমি কর্মকর্তা।
এ ব্যাাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ওয়াজেদ ওয়াসীফ বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি আমি আজ জানতে পেরেছি। আমি ওই এলাকার ভূমি কর্মকর্তাকে মাটি কাটা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।