আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি
পিয়াস আহমদ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৪
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নেত্রকোনা জেলা বিএনপি আয়োজিত শহরের মোক্তারপাড়া কালেক্টরেট মাঠে জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জননেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। তাঁকে স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলেন। জনগণ তার জবাব দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশে থাকতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, ডেভিল হান্ট প্রসঙ্গে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শয়তানকে ধরার যে এই অপারেশন ডেভিল হান্ট, তা এত দিন পরে কেন? আমাদের প্রশ্ন কেন ৮ আগস্ট এই সরকার কায়েমের পর থেকে এই ডেভিল হার্ট হলো না? কেন ওবায়দুল কাদেরকে ধরা হলো না? কেন তাকেসহ অন্যান্য শয়তানদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো? কেন সন্ত্রাসী গডফাদার, দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো? এখনো যারা প্রশাসনে আওয়ামী দোসর রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
সরকারকে বার্তা দিতে চাই, ধীরে ধীরে ছয় মাস পার হয়ে গেছে। আমরা এই সময় কোনো কথা বলি নাই। আমরা বলেছিলাম যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিন। তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া যায় কিন্তু আমরা তা বলি নাই। এখন আমাদের দাবি চলতি বছরের ডিসেম্বর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। সংস্কারের নামে আর অযথা সময়ক্ষেপণ চায় না বিএনপি।
একটি জরিপে উঠে এসেছে ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ চায় হাসিনার বিচার হোক। তাকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়। তিনি যে গণহত্যাকারী তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জাতিসংঘের একটি দল যে তদন্ত করতে এসেছিল সেখানেও উঠে এসেছে শেখ হাসিনা গণহত্যাকারী। আমেরিকায় প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্বন্ধে বিএনপির এই নেতা বলেন, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা গিয়েছিলেন।
তাদের দেশের লোকেরা তাকে স্বাগত জানাবে এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজের সামনে শেখ হাসিনার পোষ্যপুত্ররা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে ‘ওয়েল কাম মোদিজী’ বলছেন। আমার তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে আপনারা কী বাংলাদেশের নাগরিক? না ভারতে নাগরিক? আজকে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকত্ব এ জন্য চলে যাওয়া উচিত।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ আনোয়ারুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, আবু তাহের তালুকদার, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক, মান্নান তালুকদার, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান নুরু, তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, এসএম শফিকুল কাদের সুজা, এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, মজিবুর রহমান খান, সাহাবুদ্দিন রিপন, আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনিসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতারা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।