সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলেছি: ধর্ষণচেষ্টাকারী শিক্ষক

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৫, ১৩:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, টাকার প্রলোভনে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যায় যুবক। পরে ধর্ষণ করে তা নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করে বন্ধুদের কাছে পাঠায় অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার আবদুল মালেক (২৫) উপজেলার মাওনা এলাকার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় সাত বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শিক্ষক আবদুল মালেক। এর পর থেকে শিশুটি মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। শনিবার সে ওই ঘটনার কথা পরিবারের সদস্যদের জানায়। এদিন সন্ধ্যায় তার পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন আবদুল মালেককে আটক করেন। একপর্যায়ে তিনি ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে আবদুল মালেকের ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে আতিকুর রহমান নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্কীকার বলে আবদুল মালেক বলছেন, ‘আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলেছি। এমন কাজ আমি আর কখনো করিনি। তাকে খারাপ কাজ করিনি।’

শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আখতার বলেন, অভিযুক্ত আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গতকাল রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিশুটির বাবা মামলা করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তর পাড়া এলাকায় বাগে জান্নাত মাদরাসা নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ বছরের এক শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দু’টি ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। গ্রেফতার শিক্ষক আব্দুল মালেক নেত্রকোনা জেলার কলমকান্দা উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে ও অপর যুবকের নাম আরমান হোসেন।

আরমান ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের শামসুল হকের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগারচালা গ্রামের মাঝেরটেক এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী শিশু একই এলাকার একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মালেক দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন। সর্বশেষ ৮ বছরের এক শিশুর সঙ্গে তার অশালীন আচরণ বিষয়টি শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে শনিবার রাতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা মাদরাসা থেকে অভিযুক্তকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top