সাঘাটায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা
সাঘাটা থেকে | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১, ২০:০০
সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা গ্রামে বিয়ের দাবিতে তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা কুমারী সাধনা রাণী প্রেমিক প্রশান্ত কুমারের বাড়িতে শনিবার রাত ১০ টা থেকে তার ঘরের দরজায় অবস্থান করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে।
কুমারী সাধনা রানী জানায়,গত ১০ বছর ধরে প্রতিবেশী রমণী কান্তের পুত্র সুশান্তের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে একসময় বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের রুপ নেয়। সকলের অজান্তে শারীরিক সম্পর্কের কারণে গত তিনমাস পূর্বে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সান্তনা রাণী ।
অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সাধনা সুশান্তকে জানায়। বিষয়টি জানার পর সুশান্ত গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপসৃষ্টি করে। এতে সাধনা রানী রাজি না হলে সুশান্ত তার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়।
অবশেষে সাধনা তার প্রেমের কথা, গর্ভের সন্তানের কথা তার দুলাভাইকে জানায়। সব কথা শুনে সাধনার দুলাভাই সুশান্তের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে অবগত করে। এসব ঘটনা শুনে সুশান্তের পরিবার সবকিছু মিথ্যা বানোয়াট বলে তাকে বিদায় করে দেয়।
ইতিমধ্যে বিষয়টি চারপাশের লোকজনের মাঝে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। লোকজনের কানাকানি সাধনাকে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মাঝে ফেলে। সুশান্তের দেখা ও যোগাযোগ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সাধনা রানী ২০ মার্চ সন্ধ্যায় সাঘাটা বাজারের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে সুশান্তকে ধরে ফেলে। এসময় সুশান্তের এক বন্ধু সাধনাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে সুশান্তকে নিয়ে সটকে পড়ে।
এঘটনায় লোকজনের মুখেমুখে তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে লোকলজ্জা ফেলে সাধনারানী ওই রাতেই বিয়ের দাবিতে সুশান্তের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।
সাধনার সাথে এসময় কথা হলে জানায়, সুশান্তের সাথে বিয়ে না হলে সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারবো না। নিরূপায় হয়েই আমি মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় রক্ষার জন্য এই বাড়ির দরজায় অবস্থান করছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আর এ সমাজে মুখ দেখানোর ব্যবস্থা নেই। যাকে ভালোবেসে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছি তার দুয়ারে জীবন শেষ করে দিবো।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।