পপগুরু আজম খানকে হারানোর ১১ বছর আজ
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২, ০৪:৩৩
দেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৫ জুন)। ২০১১ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘পপগুরু’ খ্যাত এই সংগীত ব্যক্তিত্ব। প্রতি বছর এই দিনে আজম খানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তার পরিবার, বন্ধু-স্বজন, শুভাকাঙক্ষী ভক্ত-শিষ্য সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে ঘিরে অনেকের স্মৃতিচারণা চোখে পড়ে।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন আজম খান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েও এদেশের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।
‘পপগুরু’, ‘পপ সম্প্রাট’সহ আরও নানা উপাধি খ্যাত আজম খান ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০নং সরকারি কোয়ার্টারে জন্মগ্রহণ করেন। সংগীত জগতে তিনি পা রাখেন ষাটের দশকের শেষের দিকে। পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন।
১৯৭২ সালে আজম খান বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’। যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মূলত তার সেই ব্যান্ডের কল্যাণেই পপ সংগীত পৌঁছে যায় দেশের আনাচে-কানাচে।
আজম খানের পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। বাবা আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। তার শৈশবের পাঁচ বছর কাটে আজিমপুর কলোনিতে। তারা ৪ ভাই ও এক বোন ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে সেখানে উঠেন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আজম খান। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচার করেন। ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ করেন প্রয়াত এই কিংবদন্তি। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটি সেকশনের ইনচার্জ। তিনি সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন।
বিষয়: আজম খান
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।