তবে কি বয়কট হতে যাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী?
ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৬
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশিরা যেন খুশিতে আত্মহারা।সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয়রা সেই ভিডিও দেখার পর তা মেনে নিতে পারেননি। ফলে শুরু হয় দুই দেশের সমর্থকদের স্নায়ুযুদ্ধ।
বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর মতামত জানতে চাওয়া হয়। অনলাইনে ভেসে বেড়াচ্ছে কথোপকথনের সেই কলরেকর্ড, যা তোপের মুখে ফেলেছে তাকে।
চঞ্চল চৌধুরীর বক্তব্য, ‘খেলাকে মানুষ শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে না, এটাই আমার খারাপ লাগার জায়গা। খেলাতে হার-জিত থাকেই, তবে সেটার ফলে এমন হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসা কাম্য নয়। বাংলাদেশে অনেক ভারত বিদ্বেষী আছে, এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। সে রাজনীতি হোক কিংবা খেলা। সবক্ষেত্রেই। এটা বাস্তব। সব দেশেই এমন থাকে। বাংলাদেশেও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটাই কিন্তু বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়। এখানে এ রকম প্রচুর মানুষ ভারতের সিনেমা ভালোবাসে। মুক্তিযুদ্ধের অবদান মনে রাখে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক নয়, তাদের পরিবার পরম্পরায় পাকিস্তানের পক্ষে। আর যারা ভারতবিরোধী তাদের প্রত্যেকের কাছে জনে জনে গিয়ে তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, ভারতকে সাপোর্ট করো।’
চঞ্চল বলেন, ‘একটা দেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ আছে। বাংলাদেশের বহু মানুষ এখনও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। অনেকে আবার সমর্থনও করে। আবার ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হলে, অনেকে পাকিস্তানকেও সমর্থন করে। এমন নয় যে, বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষই ভারত বিদ্বেষী। এটা তো রাজনীতি বা খেলা সবক্ষেত্রেই হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যারা ছিল, তারা হয়ত ভারত বিদ্বেষী। তাই এহেন আচরণ করেছে।’
চঞ্চলের এমন বক্তব্য স্বাভাবিকভাবে নেননি নেটিজেনরা। তাদের দাবি, কলকাতার ছবিতে কাজ করছেন বলে বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন তিনি। স্বার্থপর আচরণ করেছেন। কেউ কেউ তো বলছেন, তার অভিনীত ‘আয়ানাবাজি’ সিনেমার মতোই বাস্তবে আয়নাবাজি করছেন। তাই এসব মেনে নিতে না পেরে নেটিজেনদের একাংশ তাকে তাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।