শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্র্বতী সরকারের অধীনে, যে নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা মেলে।

নবম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আদালতের এক রায়ের আলোকে তড়িঘড়ি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়। আনা হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী। এমনকি এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আনে তারা।

সংবিধান আইন-২০১১ (পঞ্চদশ সংশোধনী) পাস হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন। এর তিন দিন পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল ছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ ছাড়া সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪৫টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়।

সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়। বিরোধীদল বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২৯১-১ ভোটে বিলটি পাস হয়।

আইনজীবীরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট, একতরফা নির্বাচন এবং ক্ষমতাসীনদের স্বৈরাচারী হওয়ার পথ সুগম করে এই সংশোধনী। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, এই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রহীনতার দিকে যায় বাংলাদেশ। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকার পথও সুগম হয়।

রিটকারীদের অন্যতম সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বেচ্ছাচারিতা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এই সংশোধনী এনেছিল শেখ হাসিনা সরকার। হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর রিটটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আইনজীবীরা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top