ডিম-পেঁয়াজের দামে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের জীবনে

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৪, ১৩:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম এখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে। বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২৮ জুন) সাপ্তাহিক ছুটির দিন কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা।

সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ঠেকেছে ১৬০-২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০-৮০, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।
 
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। স্বস্তি নেই আদা-রসুনের দামেও। আলুর কেজি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা। 

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না। পাইকারি চাল বিক্রেতারা জানান, চালের বাজার গত এক দেড় মাস ধরে স্থিতিশীল ছিল। কারণ এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে সরবরাহও ভালো ছিল। ঈদের পর হঠাৎ চালের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন কিছু মিলমালিক। এতে বাজারে চালের সরবরাহ কিছুটা স্থবির।
 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top