গোপনীয়তার সুযোগে বাড়ছে সুইস ব্যাংকে জমানো অর্থ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২, ২২:৪৮

গোপনীয়তার সুযোগে বাড়ছে সুইস ব্যাংকে জমানো অর্থ

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সরকারের প্রণোদনা নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে, এই সময়ে সামনে এলো সুইস ব্যাংকের রিপোর্ট। এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমানো অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১২ সাল থেকে বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশ ভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করছে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি)। এর মধ্যে গেল বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জমানো অর্থের রেকর্ড গড়েছে। 

২০২১ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮৩৩১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা (প্রতি সুইস ফ্রাঁ ৯৫.৬৫ টাকা হিসাবে)। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ২৯ লাখ ফ্রাঁ (৫৩৮৩.৮৯ কোটি টাকা)। সে হিসাবে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমানো অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে বিত্তবানরা দেশকে নিরাপদ মনে করছেন না। ফলে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ পাচার হচ্ছে। অবশ্য সুইস ব্যাংকে জমানো সব অর্থই পাচার হওয়া এমনটা নয়। অনেকেই মনে করেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এবং বিনিয়োগের যথাযথ পরিবেশ না থাকায় দেশের বাইরে, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকগুলোতে গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে রাখা অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে। 

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সুইস ব্যাংকের জমানো অর্থ সব পাচার হয়ে দেশ থেকে গেছে এমনটি বলা যাবে না। কারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সেখানে টাকা জমা রাখছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্যও অর্থ জমা রাখতে পারেন। সেখানে জমানো অর্থের কিছু অংশ পাচার হয়েও যেতে পারে। তবে আলাদা করে তথ্য প্রকাশ না করলে প্রকৃত ভাবে বলা যাবে না কত টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ কথা ঠিক যে, দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশিদের অর্থ পাচারের বড় গন্তব্য হলো পশ্চিমা দেশগুলো। তাছাড়া দুবাই, মালয়েশিয়া এসব দেশেও টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top