৮২০ কোটি টাকা ফাঁকি বাংলালিংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ২১:৫০

৮২০ কোটি টাকা ফাঁকি বাংলালিংকের

মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে চলমান অডিটে এখন পর্যন্ত ৮২০ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফাঁকি ধরা পড়েছে। তবে অডিটের আরো দুই ধাপ বাকি রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভ্যাট, ট্যাক্স, রেভিনিউ শেয়ারিং, হ্যান্ডসেট রয়্যালিটি, অ্যাকসেস ফ্রিকোয়েন্সি পেইমেন্ট, মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি পেইমেন্ট, পাওয়ার আউটপুট চার্জ, লাইসেন্স ফিসহ অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে এই ফাঁকি শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে গ্রামীণফোন ও রবির অডিট সম্পন্ন করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। সেখানে গ্রামীণফোনের ফাঁকি ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির ফাঁকি ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ধরা পড়ে। এ নিয়ে উচ্চ আদালত পর্যন্ত জল গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গ্রামীণফোন অডিট আপত্তির ২ হাজার কোাটি টাকা এবং রবি ১৩৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। বাকি টাকার বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এই টাকা জনগণের। শেষ পর্যন্ত অডিটে যে টাকা ফাঁকি ধরা পড়বে বাংলালিংককে সেই টাকা দিতে হবে। আমরা চূড়ান্ত অডিট রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ বিটিআরসির নিয়োগ করা অডিটর মেসার্স মসিহ মুহিত হক অ্যান্ড কোম্পানি বাংলালিংকের অডিট করছে। এখন পর্যন্ত তারা ‘চারটি প্রতিবেদন’ জমা দিয়েছে। অডিট শেষ করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ছয়টি প্রতিবেদন জমা দেবে। এতে শেষ পর্যন্ত অর্থ কম-বেশি হতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, বাংলালিংকের গ্রুপ সিইও সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। অডিটের বিষয়টি তারা গুরুতের সঙ্গে নিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

অডিটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অফ করপোরেট কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটি আংকিত সুরেকা বলেন, ‘অডিট তো এখনো শেষ হয়নি। অডিট প্রক্রিয়া এখনো চলমান এবং মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। অডিট শেষ হওয়ার আগেই এই ধরনের বিভ্রান্তিতকর তথ্য আলোচনায় আসা অত্যন্ত আপত্তিকর। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করাও যৌক্তিক হবে না।’




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top