‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের’ আহ্বায়ক মোস্তফাসহ ১২১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিনা সুদে লাখ ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীনসহ ১২১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন এই থানার এসআই হারুন অর রশিদ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ।

মামলায় আ ব ম মোস্তফা আমীনসহ ১৯ জনকে এজহারনামী আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সমর্থক অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানস, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ (৪৭), মাহবুবুল আলম চৌধুরী (৫৬), মেহেদী হাসান (৩৪), অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নেত্রকোনার আহ্বায়ক রাহাত ইমাম নোমান (৩৩), মো. মাসুদ (৩৭), ইব্রাহিম (২৯), আলেক ফরাজী (৪৪), সাইফুল ইসলাম (৪৮), আবু বক্কর (৪৯), মো. রিংকু (২১), নিজাম উদ্দিন (৩২), সৈয়দ হারুন অর রশিদ (৬০), আফজাল মন্ডল (৪২), আব্দুর রহিম (৩০), নুরনবী (৪৫), মো. শহিদ (২৮) ও কহিনুর আক্তার (৫০)। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১২০০ জনকে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১২০ (বি)/১৪৩/১৪৭/১৪৯/১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৪২৭/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে সোমবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের একটি সংগঠন। অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি সারাদেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে টার্গেট করে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি এক হাজার করে টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের ব্যানারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে শাহবাগ মোড়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায়।

আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি ঘটনার জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে সাধারণ জনসাধারণকে বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে শাহবাগ মোড়ে এনে বেআইনি জনতাবদ্ধে জমায়েত হয়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে অনুমান বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।