শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই, বললেন ড. ইউনূস

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৪, ১৭:০৩

ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
 
তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সব বক্তব্য নোট করেছি। তার সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই। তার সব অভিযোগ গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। তাহলে ব্যাংকটির সব চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ পঞ্চম বারের মতো বাড়িয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনিসহ অন্য চার আসামির জামিন মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামি। একইসঙ্গে আপিল শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। এনিয়ে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত আসামিদের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ দেয়া হয়। ওইদিন পর্যন্ত মূলতবি করা হয় আপিল শুনানি। 

এর আগে গত ২৩ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে স্থায়ী জামিন না দিয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ান শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল। তার আগে ১৬ এপ্রিল এ মামলায় ইউনূসসহ চারজনকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন আদালত। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top