বৃহঃস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ভিপিএন ব্যবহারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সতর্কতা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহারের ফলে যেসব ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা নিয়ে সতর্ক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি এই প্রাইভেট নেটওয়ার্ক টানেল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ভিপিএন থেকে বিরত থাকি। তথ্য সুরক্ষার জন্য বিরত থাকি। ভিপিএন যে দিচ্ছে, সে পুরো তথ্য উপাত্ত পাচ্ছে। ভিপিএন চালু রেখে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আর্থিক লেনদেন করলে, গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিপিএন ব্যবহারে সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’

সরকার পক্ষ থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউবকে যে তলব করা হয়েছিল, টিকটক ছাড়া কোনো কোম্পানিই তাতে সাড়া দেয়নি বলেও জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে একটা টাইম (সময়) দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম যে তারা লিখিত ব্যাখ্যাটা দেবে, কিন্তু আমরা এখনো তাদের লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা পাইনি।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘টিকটক ই-মেইলে একটা রিপ্লাই দিয়েছে যে, তারা এ নিয়ে খুব আন্তরিক। সরকারকে সহযোগিতা করতে চান, তারা ব্যাখ্যাগুলোও দিতে চান। বাকি দুটি অর্থাৎ মেটা ও ইউটিউবের সাড়া পাইনি।’

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় আমরা পর্যায়ক্রমে তিনটি মাধ্যমের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। ৯টায় টিকটক, ১০টায় ইউটিউব ও ১১টায় ফেসবুক বা মেটা। আজ পর্যন্ত তারা কিছু বলেননি। তবে এখনো সময় আছে। বেঁধে দেওয়া সময় পর্যন্ত দেখি। তারা কী ব্যাখ্যাটা দেন।’

উল্লেখ্য, ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভিপিএন টুল ডাউনলোড করার সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণসহ ফেসবুক, ইমেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ওই ভিপিএন নির্মাতার কাছে। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। ভিপিএন ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top