ড. শহিদুল আলম: নীরব ক্যামেরায় প্রতিবাদের উচ্চারণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০২

ড. শহিদুল আলম — একটি নাম, যা শুধু একজন চিত্রগ্রাহকের পরিচয় নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এক চেতনার নাম। তাঁর ক্যামেরা যেন হয়ে ওঠে নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর, প্রতিটি ফ্রেম যেন একেকটি নীরব প্রতিবাদ।
রানা প্লাজা ধসের সময় তাঁর তোলা ছবি এখন ইতিহাসের দলিল। আবার ২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের সমালোচনা করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে নিপীড়নের মুখে থেকেও তিনি কখনো থেমে যাননি— সাহসী কণ্ঠে বলেছেন সত্যের কথা।
রসায়নে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করলেও শহিদুল আলম হয়ে উঠেছেন এক দৃষ্টিভঙ্গির নির্মাতা। তাঁর ছবিতে উঠে আসে সমাজের বিদ্রোহ, বঞ্চনা ও টিকে থাকার সংগ্রাম। তাঁর কাজ কেবল শিল্প নয়, বরং নৈতিক বার্তা।
বিশ্ব যখন গাজার গণহত্যার সামনে নীরব, তখন শহিদুল আলম নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলে সেখানে গেছেন— ক্যামেরা, ত্রাণ আর প্রতিবাদ নিয়ে। যেখানে অনেক রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় বক্তারা নিশ্চুপ থেকেছেন, সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন: “মানবতা কি ভূগোল দেখে কাজ করে?”
আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দ্বিমুখী আচরণকে প্রকাশ করে তিনি বিশ্ব বিবেককে জিজ্ঞেস করেছেন— কোথায় আজ মানুষের কণ্ঠ?
শহিদুল আলমের এই অবস্থান শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।