গাজামুখী ফ্লোটিলা আটক: বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা, দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া মানবিক সহায়তাবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা দখলে নেওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ফ্লোটিলা থেকে আটক সকল অধিকারকর্মীকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যে—
“এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ।”


ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য

এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বেসামরিক নৌযানের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা যুক্ত রয়েছেন এতে, যার মধ্যে আছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং পর্তুগালের বামপন্থি রাজনীতিক মারিয়ানা মর্টাগুয়া

গত দুদিনে ফ্লোটিলার প্রায় ৪০টি জাহাজ দখল করেছে ইসরায়েলি সেনারা। আটক করা অধিকারকর্মীদের পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

গ্রেটা থুনবার্গ এক ভিডিওবার্তায় অভিযোগ করেছেন—“ইসরায়েলি বাহিনী আমাকে অপহরণ করেছে।”


ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রেক্ষাপট

২০০৭ সাল থেকে গাজার উপকূলে নৌ অবরোধ জারি রেখেছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার কিছু এলাকায় এখন দুর্ভিক্ষ চলছে।


বাংলাদেশের অবস্থান

বাংলাদেশ সরকার বলছে—

  • আটক মানবিক ত্রাণকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
  • ফিলিস্তিনে চালানো গণহত্যা বন্ধ করতে হবে
  • গাজা ও পশ্চিম তীরের অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে।
  • অবিলম্বে অবরোধ উঠিয়ে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়—
“অতি জরুরি মানবিক সহায়তার বহরটি ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বৈশ্বিক সংহতির প্রতিনিধিত্ব করছে। এই দুর্দশার সময়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অবিচল সংহতি নিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top