রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

মিয়ানমারে শরণার্থী ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে আর্টিলারি হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। মিয়ানমারে জান্তা শাসন শুরুর পর এটি ভয়াবহ হামলার মধ্যে একটি।

রয়টার্স আরও জানায়, কাচিন রাজ্যে সোমবার মধ্যরাতের দিকে গোলাগুলি হয়। কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত শহর লাইজারের একটি ঘাঁটি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের শিবিরে আর্টিলারি আঘাত হানে। জান্তা প্রতিরোধ গোষ্ঠীটির সঙ্গে দীর্ঘদিন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দশক ধরে কেআইএ এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, অন্ধকারে উদ্ধারকারীরা মৃতদেহ উদ্ধার করছেন। পাশে দেখা যাচ্ছে বাঁশ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষের স্তূপ। এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) মানবাধিকার মন্ত্রী অং মিও মিন এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্তত ৫৬ জন আহত হয়েছেন।

কেআইএর কর্নেল নাও বু বলেন, শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র দলটি কী ধরনের হামলা করেছে তার তদন্ত চলছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমরা কোনো বিমানের কথা শুনিনি। সামরিক বাহিনী হামলায় ড্রোন ব্যবহার করেছে কি না তা তারা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিসহ মোট ২৯ জনের মৃতদেহ পেয়েছি। যে শরণার্থী শিবিরে হামলা হয়েছে সেটি কেআইএ সদর দফতর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে।

গত বছরের অক্টোবরে কাচিনে কেআইএ আয়োজিত একটি উৎসবে সামরিক বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে। দেশটির সংখ্যালঘু জাতিগুলোর বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনীগুলো ও দেশটির বিরোধীদলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলন সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে হটানোর চেষ্টায় লড়াই করে চলছে। এসব লড়াইয়ে বহু লোক হতাহত হওয়ার পাশাপাশি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top